কিছু বিচ্ছিন্ন অনুভূতি
লিখেছেন লিখেছেন মামুন ১৭ অক্টোবর, ২০১৪, ০৩:২৭:১৩ রাত
সত্যিকারের ভালোবাসা
সুনীলের 'কেউ কথা রাখেনি' কবিতায় একজন বরুনা তাঁর ভালবাসার মানুষকে নিজের বুকের মাঝে সুগন্ধী রুমাল রেখে বলেছিল-
'...যেদিন আমায় সত্যিকারের ভালোবাসবে
সেদিন আমার বুকেও এ-রকম আতরের গন্ধ হবে!...'
ভালোবাসা কি? এ প্রশ্ন রাখলে অনেকেই নিজ নিজ দৃষ্টিকোণ থেকে হাজারো ব্যাখ্যা দিতে পারবে। আর সত্যিকারের ভালোবাসা?
তাহলে মিথ্যে-মিথ্যিও ভালোবাসা যায়।
এখন ভালোবাসা একধরণের পন্যে পরিণত হয়েছে। গিভ এন্ড টেক... তা যে কোনো বস্তু বা টাকা-পয়সা হতে হবে এমন নয়। ভালবাসার অভিনয়ের আদান-প্রদানও একধরণের ভালোবাসায় পরিণত হয়েছে। কারো সাময়িক মনের খেয়ালে পরিণত হয়েছে। বিষন্ন কোনো মেয়ের সাময়িক খেয়াল হল, নিজের দীর্ঘ কষ্টকর মুহুর্তগুলোকে কাটানো দায় হচ্ছে। কেননা এমন কাউকে নিজের বিষন্নতাকে ধার দেই... মোট কথা কারো সময়কে অন্যভাবে নিজের দুঃসময়ে নিজের করে নেয়ার চেষ্টা।
আমার চারপাশে এমন অনেক ফেইক ভালোবাসা অনুভব করেছি... করছি।
বন্ধু এখন ফেইসবুকেই পাওয়া যায়। একটা নেশাময় ভার্চুয়াল জগত- যেখানে বেশীরভাগই দেখানোর ব্যাপার থাকে (আমি সকলের ক্ষেত্রে এ কথা হয় বলছি না)... নিজেকে জাহির করাটাই এই জগতের মূখ্য উদ্দেশ্য।ভালোবাসা এখন লাইক দেয়া ও শেয়ার করার ভিতর এবং নির্দিষ্ট কিছু গ্রুপের ভিতরে সীমাবদ্ধ। কষ্টকর রিয়েল লাইফে একাকী থাকার বেদনা অনুভব করার সময়ে, ঐ সব ভার্টুয়াল বন্ধুর কিংবা এই ভালোবাসার টিকিটিও দেখা যায় না।
তাই...
জীবন নামের এই প্ল্যাটফর্মে একাকী বসে আছি!
অপেক্ষায়... সত্যিকারের ভালোবাসার।
আমার কোনো বরুনা নেই কিংবা কেউ তাঁর অমুল্য সম্পদের ভিতর কোনো সুগন্ধী রুমালও গুজে রাখেনি। তবে কাছের ও দূরের মানুষ আমাকে সত্যিকারের ভালোবেসে আমাকে ডাকবে- এই আশায় অপেক্ষারত এই আমি... সেই আমি কিংবা চেনার জগতের অচেনা ভিন্ন কোনো আমি।।
সাথী হারা
বেশ কিছুদিন আগে প্রথম আলোর অতিরিক্ত পাতায় 'সাথী হারা' এরকম কিছু নিয়ে একটা লেখা পড়েছিলাম। সেখানে আমাদের দেশীয় প্রেক্ষাপটে একজন নারী অল্প বয়সে তাঁর সঙ্গীকে হারালে কত ধরণের বিড়ম্বনায় যে পড়ে সেটা খুব সুচারুভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
আমি একজন সদ্য বিধবার কষ্টকে অনুধাবন করলাম। আসলেই কি তাই?
একজন পুরুষ হয়ে, তার উপর সধবা- আমি কি ঐ নারীর ইন্টারন্যাল ফিলিংকে কখনোই আমার অনুভুতিতে উপলব্ধি করতে পারবো?
যদি আমিও একজন সাথী হারা পুরুষ হতাম, তবে আমিও অনেকটা অনুভব করতাম।
আল্লাহ না করুক, কেউই যেন এই কষ্টটা না পায়।
যখন দুটি সত্ত্বাকে এক করে সংসার সংসার খেলার জন্য এই মহা রঙ্গমঞ্চে পাঠানো হয়- শুরুর দিকে কত ঝড়-ঝঞ্চা পেরিয়ে একে অন্যের কাছে আসে... ধীরে ধীরে অ্যাডজাস্ট হয়... মনের সাথে মন... শরীরের সাথে শরীর আর চিন্তা-চেতনায় দূরত্ব হ্রাস হয়ে সব কিছুই এক সুত্রে বাঁধা পড়ে। তাই একজন অপরের পরিপূরক হয়ে পড়ায়, একজন চলে গেলে অন্যজনও বেশীদিন স্থায়ী হতে পারে না।
একজন লীলাবতী...
বন্ধুর খোলসে সে কাছে আসে।
এরপর তার নিজের ধ্যানধারণা অনুযায়ী নিয়ন্ত্রন করার চেষ্টা।
একটু লোভ দেখায়...
নিজের প্রকৃতিদত্ত সম্পদকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করে। স্বাভাবিক নিয়মেই প্লাস তো মাইনাসের দিকেই ছুটবে।
এরপর শুরু হয় আসল খেলা।
ভালোবাসাকে একটা দুর্ভেদ্য কাঁচের গোলকে আবদ্ধ করে দূর থেকে দেখিয়ে দেখিয়ে শুধু ছুটিয়ে বেড়ানো।
তারপর...
ক্লান্ত-বিপর্যস্ত এক রিক্ত মুসাফিরের মতো খড়কুটো কে আঁকড়ে ধরে পথে চলার চেষ্টা। ঠিক সেই সময়ে আবারও হাজির হয় কাঁটা ঘায়ে নুনের ছিটা দিতে। এক পরিচ্ছন্ন হৃদয়ের অর্পণ করা ভালোবাসাকে তার কালো মনের ভিতরে সে কীভাবে নিবে?
তাই সে হতে পারেনা একজন বউ... কিংবা প্রিয়তমা
একজন মা... আদরের ছোট বোন... কিংবা নিজের অতি আদরের কন্যা।
সে কেবলই একজন ৪ আকৃতির রক্ত মাংসের ছিড়ে-খুবলে নেয়া যায় এমনই এক লীলাবতী ছাড়া আর কিছুই হতে পারে না।
সে হতে চায়ও না।।
'চোখের আলোয় দেখেছিলেম... চোখের বাহিরে'
প্রতি সপ্তাহে শনিবারটা আমার কাছে মন খারাপের আবহ নিয়ে আসে।
এদিন বাসার সবাইকে ঘুমে রেখে কোনাবাড়ির উদ্দেশ্যে চলে আসি।
নিজ ভুমে পরবাসি হবার জন্য।
গত পহেলা মে এবং শুক্রবার- দু'দিন সবার সাথে বেশ কাটালাম।
বন্ধু মুসার মৃত্যু আমার বাসার সদস্যদেরকেও কিছুটা শোকাহত করেছে। ২০১৩ ইং সালের কোরবানির ঈদে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় ফেরার সময় দামপাড়া বাস কাউন্টারে আমার শ্যালকের সাথে প্রয়াত বন্ধু মুসাও এসেছিল। আমাদেরকে বিদায় জানাতে। আমার মেয়েদেরকে চিপস কিনে দিয়েছিল। ঝুমুর সাথেও কিছুক্ষণ কথা বলেছিল। বৃষ্টির ভিতরে বন্ধু আমার অনেকক্ষণ ছিল। এইভাবেই জ্ঞানীবাবু-সুন্দরী বাবু এবং ঝুমুর স্মৃতিতে সেই রাতে কিছুক্ষণের জন্য মুসা নিজের অস্থায়ী আসন গেড়ে রেখেছিল। যা তাঁর মৃত্যু সংবাদে ওদেরকেও শোকাতুর করে।
আমার বউ এবং আমি-দুজনেই আমার ভার্সিটি জীবনের বন্ধুর এই অসময়ে চলে যাওয়াতে দুঃখ পেলেও, নিজেরা একজন অপরজনের সাথে আরো নিবিড় ভাবে রুটীন জীবন থেকে বের করা স্বল্প সময়টুকুকে কাজে লাগাতে চেষ্টা করি। দু'জনের মনের গভীরে কি বেজে উঠেছিল যে, ' সময় বেশী নাই'? মুসা একটি উদাহরণ হয়ে আমাদের সামনে দৃশ্যমান।
ফেরার দিন সকালে অ্যালার্ম ঘড়ি তাঁর ডিঊটি পালন করলেও আমার কান সেটা শুনতে ছিল ব্যর্থ। তাই যেখানে সাড়ে চারটায় উঠার কথা, বউ এর ডাকে ৫টা ২২ মিনিটে ঘুম ভাঙ্গল। দ্রুত অজু-নামাজ শেষ করে রেডি হলাম। বাসা থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশমাইল গেইট পর্যন্ত হেঁটেই যাই সচরাচর। তবে আজ দেরী বলে কথা। জুতোর ফিতে বাঁধতে বাঁধতে কীভাবে দ্রুত পৌঁছানো যায় ভাবছিলাম। এমন সময় বউ বারান্দা থেকে বলল,' একটা রিক্সা খালি যাচ্ছে, দাঁড় করিয়েছি'। বাহ! ভালোই হল। নীচের কোলাপসএবল গেইটের তালাও খুলে রেখেছে সে নিজে।
চমৎকৃত হলাম।
রিক্সায় উঠে বারান্দার দিকে তাকাতেই ভোরের তাজা ফুলের মত আমার বউ কে দেখলাম... হাত নেড়ে বিদায় জানালো।
মনের কোথায় যেন একটু মোচর দিয়ে উঠল। হাত নেড়ে প্রতি উত্তর দিতে দিতেই ইঞ্জিনচালিত রিক্সাটি আমাকে আমার প্রিয়ার থেকে দূরে নিয়ে এলো।
এই মেয়েটির জন্য আমার আরো অনেক কিছু করা বাকি আছে... ভাবতে ভাবতে হৃদয়ের রক্তক্ষরণ চোখের কোণে এসে কি জমা হল? সামনের সব কিছু না হলে ঝাপসা দেখছি কেন?
বন্ধু মুসা নিজে চলে গিয়ে আমাদের ভিতরের সুপ্ত ভালবাসার অপ্রকাশিত কিছু অনুভূতির উৎস মনে হয় খুলে দিয়ে গেছে!
সঞ্চয়
অন্য আর একদিন সাভারের বাসায় মাগরিবের আজানের আগমুহুর্তে বারান্দায় দাঁড়িয়েছিলাম। বেলা শেষের এই সময়টিতে আকাশ তার বুকে মেঘ বালিকাদেরকে নিয়ে ক্ষণে ক্ষণে অপুর্ব রঙের খেলায় মত্ত থাকে। এর ভিতরে পাখিদের ঘরে ফেরা অন্যরকম এক আবহ নিয়ে এলো আমার বিদীর্ণ হৃদয়ে।
অনেকক্ষণ মিইয়ে যাওয়া আলোর ভিতর দিয়ে পাখিদের ঘরে ফেরা দেখলাম। একটি নাম না জানা পাখিকে দেখলাম দলছুট হয়ে একা একা উড়ে বেড়াচ্ছে। আমার দৃষ্টিসীমার ভিতরে ওটা আকাশে কয়েক পাক দিয়ে ওর গন্তব্যে চলে গেলো।
আচ্ছা নীড়ে ফেরা পাখিরা তাদের বাসায় গিয়ে কি করে?
আমি বৈশাখী শালিখ এর বাচ্চা সংগ্রহের জন্য কয়েকবার পাখির বাসা দেখেছি... বাবুই'র বাসা দেখেছি। আর চড়ুই তো সকলের বাড়িতেই বাসা বানায়। কিন্তু এগুলো সব দিনের বেলায় দেখে থাকি আমরা। রাতে- একান্ত নিজের সময়ে পাখিদের পারিবারিক জীবন আমাকে অনেক আকৃষ্ট করে।
পাখিরা সকালে খালি পেটে বাসা থেকে বের হয় এবং সৃষ্টিকর্তার অপার মহিমায় ভরপেট বাসায় ফেরে। তাদেরকে রিজিকের জন্য অতোটা ব্যতিব্যস্ত হতে হয় না। তাদের বানানেওয়ালার প্রতি রিজিকের ব্যাপারে অগাধ বিশ্বাসই ওদেরকে এরুপ নিশ্চিন্ত রাখে।
ইস! আমারও যদি পাখির মত এমন দৃঢ় বিশ্বাস থাকতো!!
এক রাতে এলাকার এক পুরনো কবরের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম। পাতা ঝরার দিনে কবর শুকনো পাতায় একাকার। চলতি পথেই গভীরভাবে তাকালাম। ওখানে যারা শুয়ে আছেন, তারা আমার পুর্বসূরি... অন্তহীন জীবনের যাত্রায় একটু আগেই স্টেশন ত্যাগ করেছেন। আমার টিকেটও যে কোনো সময় কাটতে হতে পারে। শরীরের টপ লেভেলে উঁকি দিয়ে যাওয়া রুপালী স্রোত বেশ আগে থেকেই আমাকে জানান দিচ্ছে। কিন্তু স্টেশন ত্যাগ করে সেখানের যাত্রী হিসেবে নিজের প্রস্তুতি কিছুই নেয়া হয়নি।
মায়ায় মায়ায় কেটে যাচ্ছে অর্থহীন এ জীবন।
কত কিছু করা বাকি!
যদিও আশপাশ থেকে শেখার অনেক কিছু থাকলেও ঐ যে মায়া... এই জীবনের প্রতি... আমাকে নিরুদ্বেগ করে রেখেছে।
খালি হাতেই কি শেষে যেতে হয়?
বিষয়: বিবিধ
১২৮৬ বার পঠিত, ১৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
দুনিয়ার আখিরাতের ফসল ফলানোর এই সুবর্ন সুযোগ হেলাফেলায় না কাটিয়ে সবাই যেন আমলনামা ভারী করে পরাপারে যেতে পারি এই কামনা করি প্রভুর নিকট! আল্লাহ আপনার বন্ধুর গুনাহ খাতা ক্ষমা করে দিয়ে উনাকে জান্নাত বাসী হিসেবে কবুল করে নিন!
আমিন
জাযাকাল্লাহু খাইর
আপনার দোয়ায় আমীন।
আল্লাহপাক আপনাকে আপনার প্রিয়জনদেরকে সহ সব সময় ভালো রাখুন-আমীন।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
জীবনে 'বরুনা'দের মত কাউকে সহজে পাওয়া না গেলেও 'লীলাবতী'রা প্রকৃতিপ্রদত্ব সম্পদ নিয়ে ফেইক ভালবাসার ডালা সাজিয়ে ঠিকই হাজির হয় অনেকেরই জীবনে!
কাচের আবহে জড়িয়ে রেখে বিপর্যস্ত করে তোলে ব্যক্তি জীবন।
প্রকৃত প্রিয়তমা-বউ হয়ে পরিচ্ছন্ন ভালবাসাকে কে পংকিল মনে জায়গা দিতে পারে না ওরা।
ওরা ভুলে যায় 'একদিন চলে যেতে হবে সব ছেড়ে'।
নির্বোধ মানুষও ওদের জালে আটকে যায় বার বার,'পাখি'দের মত মহান আস্হা বিধাতার উপর না থাকাও ফেসে যাওয়ার একটা কারণ।
আপনার জন্যে শুধুই 'জাযাকুমুল্লাহু খাইরান ফিদ্ দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ'
সুন্দর অনুভূতি রেখে গেলেন,এজন্য অনেক ধন্যবাদ।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
বাহ বাহ অসাধারন লেখা ।
আল্লাহু আপনাকে আমাদের জন্য আর এরকম সুন্দর লেখা উপহার দেওয়ার শক্তি দান করুক । আমিন ।
আপনার দোয়ায় আমীন।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
হঠাৎ আটকে গেলাম এখানে। মনটার ভিতর শুন্যতা হুহু করে উঠলো। আমি আর কিছু লিখতে পারছি না।
এমন বিশ্বাস অর্জন করাটাই আমাদের আসল কাজ।
সুন্দর অনুভূতি রেখে যবার জন্য জাজাকাল্লাহ।
আপনিও আমার এবং ব্লগের সকল ভাই বোনদের জন্য একই দোয়া করবেন।
সাথে থেকে অনুভূতি রেখে যাবার জন্য অনেক শুভেচ্ছা।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
সহমত আপনার সাথে।
অনুভুতি রেখে গেলেন, এজন্য অনেক শুভেচ্ছা।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
খুব মনোযোগ সহকারে পড়লাম লম্বাপোস্টটি। আমিও ডুবে গেলাম ভাবনার জগতে। কী বলবো বুঝতে পারছি না। আজকে পারভিন আপার হঠাৎ মারাত্মক অসুস্থ হওয়ার খবরটি আমাকে খুব কষ্ট দিয়েছে, নস্ট্যালজিক হয়েপড়ছিলাম অনেক্ষণ। তার উপর আপনার এই ভাবনা জাগানো পোস্ট!
আল্লাহ'র সামনে উপস্থিত হওয়ার মতো কিছুইতো করলাম না! জীবনতো চলেই যাচ্ছে। তবুও মগ্ন দুনিয়াকে নিয়ে। আল্লাহ্ যেন আমাকে হিদায়াত দান করেন। আমার জন্য দোআ করবেন প্লীজ।
সুন্দর পোস্টের জন্য যাজাকাল্লাহু খাইর
আলহামদুলিল্লাহ! আমাকে আল্লাহপাক ভালো রেখেছেন হ্যারি।
হ্যা, ওনার নিজের এবং অন্য একটি পোষ্টে সে কথা জেনেছি। আল্লাহপাক আপুকে আরোগ্য করবেন ইনশা আল্লাহ।
আমাদের সবাইকেই আল্লাহপাকের সামনে হাজির হতে হবে, এটা নিশ্চিত। তাই সেই পথের পথিক হবার গুণাবলী আমার কতটা অর্জিত হয়েছে, ভেবেই মনটা খারাপ হয়েছিল। তাই এই পোষ্টের অবতারণা।
আমার জন্যও দোয়া করো,আমিও করছি আল্লাহপাক যেন আমাদের দুজনকে সহ সকল ব্লগার ভাই/বোনদেরকে খালি হাতে সেই পথে না নেন-আমীন।
সুন্দর অনুভূতি রেখে যাবার জন্য তোমাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
অসম্পাদিত কর্তব্যের তালিকা বিশাল-
কিন্তু..
আয় হতাশার আবর্জনায়
সবাই মিলে আগুন জ্বালি ?
লা তাক্বনাতু মিররহমাতিল্লাহ..
[আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়োনা]
বুদ্ধিমান সে-ই,
যে আগামীর জন্য প্রাণপণে কাজ করে যায় ,
আর সুফলের আশা করে আল্লাহর রহমত চায়
মন্তব্য করতে লগইন করুন